স্মৃতির পাতায় ভর করেছে পুরান দিনের কথা, মনের ভেতরে বেজে উঠেছে পুরানা কত ব্যথা! বয়সে যখন বেশ ছোট্ট ছিলাম, প্রাইমারী কি হাই স্কুলে পড়তাম! ঠিক একুশে ফেব্রুয়ারীর আগের রাতে, দল বেঁধে সব জড়ো হতাম ফুল কুড়াতে; ভোরের আলো ফুঁটে ওঠার আগেই, পৌঁছতে হবে শহীদ মিনারে সবার প্রথমেই; জীবনের সংজ্ঞা বা শহীদের মর্মটা বুঝে উঠার বয়স ছিলো কি ছিলো না ততটা; উপলক্ষ্যটা পালনে ছিলো তোড়জোর, খালি পায়ে বেরোতাম খুব ভোর ভোর; আজ একুশেই দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে ভাবি, বোধগুলো বুঝি ফিকে হয়ে গেছে সবি। এখনো একুশ আসে বছর বছর একুশে বসাইগান-কবিতার আসর; শুধু শহীদের বেদীতে ফুলের স্তবক ছুঁতে সময় নেই; বন্দী এখন জীবন-ঘড়ির হাতে! ‘একুশ পেয়েছে আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, বিশ্বে হয়েছে আমার বাংলা ভাষার বিস্তৃতি’- এই গর্বে গরীয়ান হয়ে গাল ভরে করি গল্প; ২১-এ দাঁড়িয়েও এখনো একুশ-কে বুঝি খুব অল্প!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ শামছুল আরেফিন
কবিতায় লাইনগুলো আমার কাছে ঠিক কবিতার মত মনে হলনা। প্রতিটি লাইনে শেষ শব্দে ছন্দ মিলানো হয়েছে মাত্র। অথচ কবিতার লাইনগুলো ছিল অনেকটা গদ্য কবিতার মত। যেখানে ছন্দটা মুখ্য নয়। আবেগগুলো ফুটিয়ে তোলাই মুখ্য বিষয়। আপনি হয়তোবা এইভাবে লিখে কবিতায় ভিন্ন একটি মাত্রা দিতে চেয়েছিলেন। এই যাত্রায় সফল হাতে পারেন নি। আগামিতে ইনশাল্লাহ আরো অনেক ভাল কবিতা পাব সেই প্রতীক্ষায়।
হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। আজকে এই একুশে ফেব্রুয়ারীর দিনটা পালন করা হলো অন্যরকম ব্যস্ততায়; কিন্তু শহীদের প্রতি মর্যাদা দিয়ে নয়। ব্যস্ততা আমাদের এতটাই ঘিরে রেখেছে যে, একটা দিন ছুটি পেলে তাতে নিজের প্রয়োজন মেটানোই প্রাধান্য পায়।
মিজানুর রহমান রানা
এই গর্বে গরীয়ান হয়ে গাল ভরে করি গল্প;
২১-এ দাঁড়িয়েও এখনো একুশ-কে বুঝি খুব অল্প!------------যথার্থ শব্দ প্রয়োগ। কবির জন্যে শুভ কামনা সীমাহীন।---------
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।